বাঘায় অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ করেও সুফল মেলেনি, পশু হাটে

রাজশাহী

বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় উপজেলার দুটি পশু বেচা কেনার হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় সহ রুগ্ন পশু হাটে নিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ছাড়পত্রে পশু ক্রেতা-বিক্রেতার নাম ঠিকানা,বিক্রিত পশুর মূল্যে দেওয়া থাকলেও আদায়কৃত টোলের (খাজনা) টাকার পরিমান দেওয়া নাই। আলাপচারিতায় রসিকতার সাথে কয়েকজন বললেন, গরু প্রতি ৫০০ টাকা করে নেওয়ার কথা থাকলেও বিক্রেতাদের জিম্মি করে ৮০০ টাকা করে টোল আদায় করছেন। ক্রেতার কাছ থেকে নেওয়া হয় ১০০ টাকা করে। অভিযোগ করেও এর সুফল মেলেনি কোন দিনও।

শুক্রবার(২৮-০৩-২০২৫) বাঘা পৌরসভার চন্ডিপুর পশুহাটে রুগ্ন পশু বিক্রির খবরে বিকেল সাড়ে ৫টায় গিয়ে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল ছোট আকারের লাল রঙের একটি গরু মৃতপ্রায় অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। কথা হলে লালপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের সান্টু জানান, তিনি একই উপজেলার চিনি বটতলার সাগর নামের একজনের কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি কিনেছেন। এর মধ্যে নগদ ১২ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাঁকি টাকা কয়েকদিন পরে দেওয়ার শর্তে বিক্রেতা সাগর তার কাছে গরু বিক্রি করে চলে গেছেন। খাজনা(টোল) দিতে হয়েছে ১ হাজার টাকা। তার ভাষ্য,কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ছল চাতুরি করে রুগ্ন গরু তার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তার কাছে থাকা ছাড় পত্রে দেখা গেছে,গরুটির মুল্যে ২৫ হাজার টাকা লেখা থাকলেও টোল(খাজনা) আদায়ের টাকার পরিমান লেখা নাই। তার(সান্টু) কেনা গরু বাড়িতে নেওয়ার আগেই হাটে শুয়ে পড়েছিল। সন্ধ্যায় ভ্যানে তুলে বাড়িতে নেওয়ার পর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মারা যায়।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পশু হাট ইজাদার সাইফুল ইসলাম (টগর) জানান,আগে থেকেই গরু প্রতি৭০০শ’ টাকা করে নিচ্ছেন। তার দাবি,এর বেশি নিলে তার লোকজন ঈদের বোনাস হিসেবে হয়তো নিতে পারে। বিক্রেতা সাগরের বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। একই অবস্থার কথা জানা গেছে আড়ানির রুস্তমপুর পশু হাটেও। উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাম্মী আক্তার বলেন,ইজাদারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবেন।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *