পবা সংবাদদাতা: রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া পশুর হাটের ইজারদার শাজাহান আলীর বিরুদ্ধে ইজারদার টাকা না দিয়েই হাট পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। যানা গেছে তিনি ১ কোটি ১১ লক্ষ ১১ হাজার ১১ টাকায় হাটটি ইজারা নিয়েছেন পবা উপজেলা পরিষদের কাছ থেকে। পবা উপজেলা সূত্রে জানা যায়, হাটের ইজারার টাকা পরিশোধ করেননি শাজাহান আলী। টাকা না দিয়েই গত বুধবার পশুহাটি তিনি চালু করেন।
পবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত আমান আজিজ বলেন, ইজারদার দামকুড়া পশু হাটের টাকা এখন পর্যন্ত দেননি।
দামকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের ইউনিয়নে পশুহাট চালু হয়েছে।
গরুর ব্যাপারীদের কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা সিটি হাটে গরু নিয়ে গেলে আমাদেরকে বাধার মুখে ফেলে দামকুড়া পশু হাট এর লোকজন। অনেক গরু জোর করে দামকুড়া পশু হাটে নিয়ে যান ইজারদারের লোকজন।
এ বিষয় নিয়ে দমকুড়া পশুহাটের ইজারাদার শাহজাহান আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান বিষয়টি সত্য নয়।
এছাড়াও ইজারার টাকা না দিয়েই হাট চালু করার কথার প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমরা বৃহস্পতিবার ইজারার টাকা দেব। খাস তহবিলে আজকে হাট লাগিয়েছি এবং আগামী রবিবার থেকে কাগজপত্র নিয়ে হাট চালু করব।
স্থানীয়রা জানান, দামকুড়া হাটের জায়গা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে গাড়ি ঘোড়া চলাচলের সমস্যা। রবিবার ও বুধবার হাত লাগালে এ রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ ও যানজট পূর্ণ হবে। দামকুড়া হাট দিয়ে কাকনহাট তানোরনাচোল সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যাতায়াত করা যায়। জায়গা সংকীর্ণতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।